পাঁচটি বাহনের এ সংঘর্ষে কোনো প্রাণহানি না হলেও অন্তত পাঁচ-সাতজন যাত্রী আহত হয়েছেন।
বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মিঠাপুকুর উপজেলার জায়গীর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বড়দরগা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান।স্থানীয়দের বরাতে দিয়ে মনিরুজ্জামান বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আরবিএস ট্রাভেলস, রানী পরিবহন ও অপু পরিবহনসহ আরেকটি বাসের মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
“ভোরে বাসগুলো জায়গীর মহাসড়কের চায়না কোম্পানি সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে ঘন কুয়াশার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ সময় একে একে চারটি বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে বাসগুলোর সামনের গ্লাস ভেঙে গেছে এবং কাঠামো কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাঁচ-সাতজন যাত্রী আহত হয়েছেন। ”
হাইওয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বড়দরগা হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
“একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে বাসগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করে। এসময় একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিগন্যাল ওভারটেক করে দুর্ঘটনা কবলিত বাসে গিয়ে ধাক্কা দেয়।”
তিনি বলেন, খুব বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। আহত কয়েকজন যাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।তিনি আরও বলেন, “এই মহাসড়কের ওপর দিয়ে প্রতিদিন বালু ও মাটি পরিবহন করা ট্রাক-পিকআপ চলাচল করে থাকে। ঘটনাস্থলে মাটি পড়ে সড়কটি ঘন কুয়াশায় পিচ্ছিল হয়েছিল, এ কারণে হয়তো চালকরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একে অপরকে ধাক্কা দেয়।
বর্তমানে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাসগুলো সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
কুয়াশায় অনেক জায়গায় দৃষ্টিসীমা কমে যাচ্ছে; তাই গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে এবং সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করার জন্য চালক ও যাত্রী সাধারণকে পরামর্শ দেন হাইওয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা।
হাইওয়ে পুলিশ রংপুর রিজিওয়নের সুপার মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০২৪ সালে রংপুরে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ১৯৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ১২০, নারী ২২ ও শিশু ছিল চারজন। এসব দুর্ঘটনায় মামলা হয়েছিল ১৫২টি।
শীত মৌসুমে ঘন কুয়াশায় সড়ক ও মহাসড়কে মৃত্যু ঝুঁকিসহ দুর্ঘটনা এড়াতে চলাচলের সময় গতি নিয়ন্ত্রণ ও ট্রাফিক আইন মেনে চলতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
Ref: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম