উড়োজাহাজে বিস্ফোরকের ভুয়া তথ্যদাতা শনাক্ত হলে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

0
36

ইতালির রোম থেকে ঢাকায় আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজে নিরাপত্তা হুমকি ‘মিথ্যা সংবাদের ভিত্তিতে হয়েছে’ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেছেন, “এটা একটা মিথ্যা সংবাদ। কোনো কিছু তো হয়নি। মিথ্যা সংবাদের ভিত্তিতে হয়েছে; (সংবাদদাতাদের) শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শনাক্ত করা গেলেই আইনের আওতায় আনা হবে।”

বুধবার বিকালে রাজধানীর খামার বাড়িতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও কৃষি তথ্য সার্ভিস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কথা বলেন উপদেষ্টা।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষও বলছে, যে ফ্লাইট নিয়ে নিরাপত্তা হুমকি দেখা দিয়েছিল, সেই উড়োজাহাজ, যাত্রী ও লাগেজ তল্লাশি করে ঝুঁকিপূর্ণ কোনো বস্তু মেলেনি। দীর্ঘ ৩ ঘণ্টার তল্লাশি শেষে দুপুরে যাত্রীরা ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে নিজেদের গন্তব্যে চলে যান।

রোম থেকে ২৫০ যাত্রী ও ১৩ জন ক্রু নিয়ে বুধবার সকাল ৯টা ২০মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে বিমান বাংলাদেশের একটি উড়োজাহাজ। ঢাকায় আসার আগেই উড়োজাহাজটিতে বিস্ফোরক থাকার খবর ছড়ায়।বিষয়টি নিয়ে ফেইসবুক পোস্টে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বলেছে, বুধবার ভোর ৪টা ৩৭ মিনিটে এয়ারপোর্ট এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের হোয়াটসঅ্যাপে একটি পাকিস্তানি নম্বর থেকে ‘বোম্ব থ্রেট’র বার্তা আসে। ওই বার্তায় দাবি করা হয়, রোম থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৫৩৬ ফ্লাইটে উচ্চমাত্রার ৩৪ কেজি বিস্ফোরক রয়েছে।

খবর পেয়ে সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ক্যানাইন ইউনিট যৌথ বাহিনীর সঙ্গে তল্লাশি অভিযানে যোগ দেয়।

নিরাপত্তা হুমকির পর যথাযথ প্রটোকল মেনে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলামও।

বিমান বাংলাদেশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, যে ফ্লাইট নিয়ে নিরাপত্তা হুমকি দেখা দিয়েছিল, সেই উড়োজাহাজ, যাত্রী ও লাগেজ তল্লাশি করে ঝুঁকিপূর্ণ কোনো বস্তু মেলেনি।

“নিরাপত্তা কার্যপ্রণালী অনুযায়ী, উড়োজাহাজটি ঢাকায় অবতরণের পরপরই বিমানবন্দরে নিয়োজিত নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে ফ্লাইটটিকে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে নেওয়া হয়। যাত্রীদেরকে নিরাপদে নামানো হয় এবং সব যাত্রী ও ব্যাগেজসহ উড়োজাহাজটি তল্লাশি করা হয়।“নিরাপত্তা তল্লাশিতে কোনো কিছু না পাওয়ায় ‘সিকিউরিটি থ্রেট ক্লিয়ার’ হয় দুপুর সাড়ে ১২টায়। যথাযথ নিরাপত্তা তল্লাশি শেষে দুপুর দেড়টার মধ্যে সব যাত্রী নিরাপদে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।”Ref:বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

LEAVE A REPLY